img

ইসলামে নারীদের নেইল পলিশ কি হালাল? বিশ্বের অনেক নামীদামি কোম্পানি তাদের উৎপন্ন বিশেষ ধরনের নখ পলিশকে ইসলামী তরিকা মোতাবেক হালাল বলে দাবি করছে। মুসলিম নারীরা এখন থেকে এই নেইল পলিশ ব্যবহার করে নামাজসহ অন্যান্য ধর্মীয় আচারাদি পালন করতে পারবে।

আমাদের দেশে প্রচলিত নেইল পলিশ ব্যবহার করলে ব্যবহৃত জায়গায় পানি পৌঁছে না। পানি না পৌঁছলে অজু গোসল কোনোটিই শুদ্ধ হয় না, যা নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য শর্ত। এতে নামাজও সহিহ হবে না। এ জন্য মুসলিম নারীর জন্য নেইল পলিশ ব্যবহার জায়েজ নেই। তবে কোনো নারী চাইলে কেবল পিরিয়ডের সময় নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পারবে। পিরিয়ড শেষে অজু বা গোসলের আগেই তা উঠিয়ে ফেলা আবশ্যক। কারণ, ওযুর সময়ে এই নেইল পলিশ পানি বা বাতাসকে নখের স্পর্শে যেতে বাধা দেয় না।

দেখা যায়, দুবাই শহরের নারীদের অনেক সেলুনে এখন এটা ব্যবহার করা হচ্ছে, চলছে এর পক্ষে প্রচারণা। প্রচারে-বিজ্ঞাপনে ‘হালাল’ কথাটি গুরুত্বের সঙ্গে থাকছে। এরই মধ্যে ‘হালাল নখ পালিশের’ ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে বলে জানান সেলুনওয়ালারা।

তবে দুবাই’য়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাকটিভিটিস বিভাগের গ্রান্ড মুফতি ড. আলী আহমেদ মাশায়েল বলেন, মেয়েদের এক্ষেত্রে খুবই সচেতন হতে হবে এবং এ ব্যাপারে যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ফতোয়া (রায়) আসার আগে ওইসব কোম্পানি আর সেলুনের কথা বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, যদি দাবি করা হয়ে থাকে যে এই নেইল পলিশগুলো নখের ওপর জল-হাওয়া রোধক কোনো আবরণ তৈরি করে না সেক্ষেত্রে সেটা উপড়ে তুলে ফেলা যায় কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। যদি দেখা যায় এটা আবরণ আকারে উঠে আসছে না, তবে বলতে হবে, হ্যাঁ, এটা হালাল। কিন্তু যদি দেখা যায় যে এটা উঠে আসছে, তবে এটা হালাল না। সেক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করে নামাজ হবে না।

গ্রান্ড মুফতি এ প্রসঙ্গে মেহেদীর তুলনা দেন। নখে-হাতে-পায়ে-মাথায় মেহেদী ব্যবহার করেও নামাজ পড়া যায়। কারণ, এর রঙ কোনো আবরণ তৈরি করে না এবং এটা খোসার মতো উঠেও আসে না।

এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে নেইল পলিশ ব্যবহারে নারীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ নারীদের শরীরে থ্যালেটস এর ঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

এই বিভাগের আরও খবর